আমরা অনেকেই নামাজ শেষ না হতে হতেই মুনাজাত করে উঠে পরি। যার ফলে প্রতিনিয়তই অনেক সওয়াব থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। যাতে আমরা অধিক সওয়াব পেতে পারি ও আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমত পেতে পারি, তার জন্য কিছু তাসবিহ্ ও আমল নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ-

প্রতি  ওয়াক্ত নামাজ শেষেই নিম্নোক্ত আমল করা যায়ঃ

(রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ্‌ বলতেন। (মুসলিম১২২২)

()‘আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালামতাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম’ – এটি পরতেন । (মুসলিম১২২১)

(৩) সুবহানাল্লাহ (৩৩ বার)। আলহাদুলিল্লাহ্ (৩৩ বার)। আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার)।
(
লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর) (১ বার)। এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়। (মুসলিম১২৪০)

(আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারার আয়াত-২৫৫১ বার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা। (নাসাঈ)

()‘আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার’ ৭ বারফজর ও মাগরিবের পর। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।

(সূরা ইখলাসফালাক্ব ও সূরা নাসপ্রত্যেকটি ৩ বার করেফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেনসকাল-সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।

(দরুদ শরীফ ১০ বারফজর ও মাগরিবের পর। কেয়ামতের দিন রাসূল (সা.) এর শাফা'আত লাভ করবে।

()‘রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বাওয়াবিল ইসলামি দ্বীনাওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা -৩ বারফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।

(রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে। (বুখারী ৭/১৬৮নং ৬৪০৫মুসলিম ৪/২০৭১নং ২৬৯১)

উপরের আমল গুলো আমল করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ!



পোস্টটি কেমন লাগলো কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না!!! নতুন পোস্ট ইমেইল এর মাধ্যমে পেতে নিচে Subscribe Me  বক্সে আপনার ইমেইল আইডি দিয়ে ওয়েবসাইট টি Subscribe করুন।