■ শা‘বান মাসে নফল রোযা।।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ( অবিরাম ) রোযা রাখতেন, যার কারণে আমরা বলতাম, আর বাদ দিবেন না।
আবার ( অবিরাম ) রোযাহীনও থাকতেন, যার কারণে আমরা বলতাম, আর রাখবেন না।
আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রমযান ছাড়া অন্য কোনো মাসে পুরো মাস রোযা রাখতে দেখিনি।
তেমনি দেখিনি শা‘বানের চেয়ে বেশি অন্য কোনো মাসে রোযা রাখতে।
- সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯৬৯; সহীহ মুসলিম, হাদীস ১১৫৬
■ সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখা।।
উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন,
“ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবারে রোযা রাখার ইহতিমাম করতেন। ”
- জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৪৫
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“ সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমলসমূহ পেশ করা হয়।
তো আমার পছন্দ, আমার আমল যেন পেশ করা হয় আমি রোযাদার অবস্থায়। ”
- জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৪৭
■ মাসে তিন রোযা।।
আবু হুরায়রা রাদিথেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“ সবরের মাস ( রমযান ) ও প্রতি মাসে তিন দিন সারা বছর রোযার সমতুল্য। ”
- সুনানে নাসায়ী ৪/২১৮, হাদীস ২৪০৮; মুসনাদে আহমাদ ২/২৬৩, হাদীস ৭৫৭৭
আবু যর গিফারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,
আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“ তুমি যদি মাসে তিন দিন রোযা রাখ;
তাহলে তের তারিখ, চৌদ্দ তারিখ ও পনের তারিখ রোযা রেখো। ”
- মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১৪৩৭; জামে তিরমিযী, হাদীস ৭৬১; সুনানে নাসায়ী, হাদীস ২৪২৪
ইবনে মাজাহর বর্ণনায় আছে,
“ আল্লাহর কিতাবে এর সমর্থন রয়েছে, যে নেক কাজ করবে সে তার দশ গুণ পাবে।
তো এক দিন সমান সমান দশ দিন। ”
- সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নংঃ ১৭০৮
0 Comments